জাতীয় সঙ্গীত
শনিবার | ১৯-০৭-২০২৫ |
মহানগর কলেজ

বাড্ডা পুর্নবাসন এলাকা, রোড নং-০৭, বাড্ডা, ঢাকা-১২১২

স্থাপিতঃ ১৯৯২ খ্রিঃ
EIIN: 108033 | MPO Code: 2606083102 | College Code: 1031
সর্বশেষ নোটিশ
23
Feb
লাইব্রেরী
বিস্তারিত

28
May
Admission
বিস্তারিত

25
May
Admission
বিস্তারিত

আমাদের কথা

 দেশের শিক্ষা বিকাশের সাথে যুগোপযোগী শিক্ষার আধুনিকায়নের মাধ্যমে একটি নিবিড় শিক্ষা ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠা করে “মহানগর কলেজ” ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকারবদ্ধ। সর্বাধুনিক পাঠ পরিচালনা , মাল্টিমিডিয়া ক্লাস , কম্পিউটার ল্যাব, বৃহৎ পরিসরে আধুনিক গ্রন্থাগার ইত্যাদির মাধ্যমে বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভিশন ২০১১ বাস্তবায়নে আমরা পরিকল্পবদ্ধ । পরিবেশগত শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণে সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত সহ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । পাশাপাশি আমাদের কাজের স্বচ্ছতা, গতিশীলতা , জবাবদিহিতা সেবার মান বৃদ্ধি করা।

সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

 বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম

বৃহত্তর ঢাকা শহরের পূর্বাঞ্চল অন্তর্গত বাড্ডা, সাতারকুল,শাহাজাদপুর, খিলবাড়ির টেক, নুরেরচালা, ছোলমাইদ, কালাচাঁনপুর,পূর্ব রামপুরা, মেরাদিয়া, উল্লেখিত বিশাল জনবসতি এলাকা । অত্র এলাকায়  নিম্ম ও মধ্যবিত্ত , গরীব অসহায় ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত লোকদের বসবাস । এই বৃহত্তর এলাকায় শিক্ষায় আলো ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে মহানগর কলেজ প্রতিষ্ঠা লাভ করে । এই বিষয়ে ঢাকা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের আ্যাডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার জনাব সুজাত আলী, এই মহান ও মহৎ কাজের উদ্যোগ নেন । সর্বপ্রথম এই লক্ষ্যে হঠাৎ একদিন ইঞ্জিনিয়ার সাহেব তার ছোট ভাই মাছুম আব্দুল্লাহ এবং জনাব লুৎফর রহমান, ময়নার বাগের এ, কে, এম শফিকুল ইসলাম সাহেবের ঘরে উপস্থিত হন ।

ইঞ্জিনিয়ার সাহেব কলেজ প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাবনা উপস্থাপনা করেন । উপস্থিত সকলেই এই মহান উদ্যোগকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেন । সেই মহান উদ্যোগকে সামনে রেখে হোসেন মার্কেটে বাদ মাগরিব প্রচার অভিযানের জন্য মিটিং করার প্রস্তাবনা গৃহীত হয় এবং ওই দিন সন্ধায় মিটিং অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত মিটিং এ অংশ গ্রহণ করে জনাব সুজাত আলী, জনাবা ফৌজী আকতার, জনাব লুৎফর রহমান, জনাব মাসুম আব্দুল্লাহ, জনাব হাবিবুল্লাহ, জনাব আবুল হাসেম, জনাব ফারুকুজ্জামান, জনাব জালাল আহমদ, জনাব এ. কে. এম শফিকুল ইসলাম প্রমুখ । এছাড়াও নাম-না-জানা আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন ।

উক্ত মিটিং এ সমস্ত এলাকা জুড়ে মিটিং করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় । অতঃপর সেলিনা মশিউরের বাসায় অনেকগুলো মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। জনাব মমিনউদ্দীনকে অস্থায়ী আহবায়ক করা হয় । আহবায়ক সাহেব পরপর দুইদিন মিটিং আহবান করেন । উক্ত কমিটিগুলোতে তিনি উপস্থিত থাকেন নাই।

এহেন অবস্থায় জনাব এ. কে. এম শফিকুল ইসলাম সন্দিহান হওয়ায় ঐ বাসায় হাবিবুর রহমান সাহেবের প্রস্তাবে পুনরায় মিটিং প্রস্তাব করলে যা শফিকুল সাহেব ভিন্নমত পোষণ করেন যার ফলে সেলিনা মশিউরের বাসায় পরবর্তী মিটিং করার সিদ্ধান্ত করা হয় ।

ঐ মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন পি.ডি.বির চেয়ারম্যান খিজির খান সাহেব, ঢাকা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র ওসমান গণি সাহেব, ঢাকা মিউনিসিপালের আ্যাডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার জনাব সুজাত আলী, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মহিলা কমিশনার জনাবা সেলিনা মশিউর, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যংকের কর্মকর্তা জনাব এ. কে. এম শফিকুল ইসলাম সাহেব এবং বিশিষ্ট সমাজ সেবক জনাব হাবিবুর রহমান সা'চা, জনাব হাফিজুর রহমান, জনাবা ফৈজী আকতার, জনাব আবদুল্লাহ্ জনাব লুৎফর রহমান, জনাব আব্দুর রশিদ সহ নাম না জানা আরো অনেকেই । উক্ত মিটিং এ বীর মুক্তিযোদ্ধা  হাবিবুর রহমান, ওসমান গণি সাহেবকে সভাপতি হিসাবে প্রস্তাব পেশ করেন । আর ওসমান গণি সাহেব জনাব খিজির খান সাহেবকে সভাপতি হিসাবে প্রস্তাব করেন এবং সভাপতি নির্বাচিত করেন । অতঃপর খিজির খান সাহেবের বাড়িতে মিটিং এর মাধ্যমে জনাবা ফৈজী আকতারকে স্থান নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয় । জনাবা ফৈজী আকতার হোসেন মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় সানরাইজ কিন্ডার গার্ডেনের প্রধান শিক্ষকের সাথে সমঝোতা সাপেক্ষে ক্লাস চালু করার সিদ্ধান্ত হয় । উক্ত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে জনাব খিজির খানের নেতৃত্বে জনাব সুজাত আলী, জনাবা ফৈজী আকতার জনাব এ. কে. এম শফিকুল ইসলাম এবং হোসেন মার্কেটের মালিক জনাব আলী হোসেন, হোসেন মার্কেটে মিটিং করে । উক্ত সভায় প্রিন্সিপাল, ও শিক্ষক নিয়োগ এবং ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির মাধ্যমে ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত হয় । ১৯৯২ ইং সালে জনাব জয়নাল আবেদীনকে অধ্যক্ষ নিয়োগের মাধ্যমে ক্লাশ শুরু হয় । দীর্ঘ ২ বছর ক্লাশ চলার পরে জনাব সুজাত আলীর বড় ভাইয়ের জমিতে টিন শেড নির্মাণের মাধ্যমে কলেজ হোসেন মার্কেট থেকে উত্তর বাড্ডায় স্থানান্তরিত করা হয় । ইতিমধ্যে জনাব জয়নাল আবেদীন এর পরিবর্তে জনাবা ফৈজী আকতারকে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয় ।১৯৯৬ সালে জনাব ওসমান গণির নেতৃত্বে এবং গণপূর্ত মন্ত্রী জনাব নাসিম সাহেবের সদিচ্ছায় দক্ষিণ বাড়িধারায় রাজউক প্লটে স্থানান্তরিত করা হয় । অতঃপর মাননীয় মন্ত্রীর সদিচ্ছার কারণে কলেজটি ১৯৯৮-১৯৯৯ সালে এমপিওভুক্ত করা হয় এবং ৪৩ কাঠা জমি দেওয়ার প্রস্তাবনা পেশ করেন । ১৯৯২ ইং সাল থেকে দীর্ঘসময় জনাব খিজির খান, জনাব ওসমান গনি, জনাব সুজাত আলী এবং এ কে এম শফিকুল ইসলাম এর পৃষ্ঠপোষকতায় অধ্যক্ষ জনাবা ফৈজী আকতার কলেজ কে উন্নত থেকে উন্নততর করেন । বর্তমানে শিক্ষার আলো প্রসারের অবস্থানে আনেন । উল্লেখ থাকে যে, প্রথম ডিপোজিট এর টাকা ৫০,০০০/ খিজির খান সাহেব প্রদান করেন । কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজের মূল হিতাকাঙ্খীদের কলেজের প্রতিষ্ঠা সদস্য হিসাবে সিদ্ধান্ত নেন ।

প্রতিষ্ঠার সদস্যবৃন্দঃ

১. জনাব খিজির খান ২. জনাব ওসমান গণি ৩. জনাব সুজাত আলী  ৪. জনাবা ফৈজী আকতার  ৫. জনাব এ. কে. এম. শফিকুল ইসলাম 

অন্যতম সহযোগীঃ 

১.জনাব হাফিজুর রহমান  ২.জনাব বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান সা'চা  ৩.জনাব মাসুম আব্দূল্লাহ ৪.জনাব লুৎফর রহমান  ৫.জনাব আব্দুর রশিদ  ৬. জনাবা সেলিনা মশিউর 

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

লক্ষ্যঃ

তরুণ শিক্ষার্থীদের মনে বিষয়গত ধারণার বিস্তৃতি সাধনের জন্য আধুনিক শিক্ষা উপকরণ-সমৃদ্ধ, প্রযুক্তি-সহায়ক একটি মানসম্পন্ন বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলাই ‘মহানগর কলেজ’-এর অন্যতম লক্ষ্য।

উদ্দেশ্যঃ

ছাত্র-ছাত্রীদের সারা বছর লেখাপড়া, খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক চর্চায় ব্যস্ত রেখে সুনির্দিষ্ট একাডেমিক পরিকল্পনার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পরীক্ষার উপযুক্ত করে গড়ে তোলা এবং প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর সন্তোষজনক ফলাফল নিশ্চিত করা। সেই সাথে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞানের পাশাপাশি কম্পিউটার শিক্ষা, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ইংরেজি  বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলে শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভা ও বুদ্ধিমত্তাকে জাগিয়ে তুলতে সহায়তা করা।

এ উদ্দেশ্যকে বাস্তবে রূপ দিতে ‘মহানগর কলেজ’ নিম্নে বর্ণিত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করেছে-

  • অভিজ্ঞ অধ্যাপকবৃন্দের পাশাপাশি মেধাবী, প্রতিশ্রুতিশীল, প্রশিক্ষিত, আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক তরুণ প্রভাষকগণের সমন্বয়ে শিক্ষাদান নিশ্চিত করা।
  • শিক্ষার্থীকে বিষয়গত জ্ঞানদানের পাশাপাশি নৈতিক মূল্যবোধে উদ্দীপ্ত করতে ও মানবীয় গুণে সমৃদ্ধ করতে সহযোগিতা করা।
  • প্রযুক্তি-নির্ভর আধুনিক শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করে কম সময়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও তথ্য সরবরাহের মধ্য দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দক্ষ করে গড়ে তোলা।
  • প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর কর্মশক্তি ও আন্তরপ্রেরণা বৃদ্ধি করে ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য অর্জনে সক্ষম করে তোলা।
  • সিলেবাস কেন্দ্রিক পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতা ও মনোজগতের উৎকর্ষ সাধনের নিমিত্তে সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের নিয়মিত অনুশীলন করা।
  • বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এতদ্অঞ্চলের শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা।

এডহক কমিটির সভাপতির বাণী
অ্যাডভোকেট মো: বেলাল হোসেন

সভাপতি, এডহক কমিটি

অধ্যক্ষের বাণী
ফজিলাতুন্নেছা

অধ্যক্ষ

Institute Location Google Map

সংবাদ ও ঘটনাবলী

এডহক কমিটির সভাপতির বাণী
অ্যাডভোকেট মো: বেলাল হোসেন

সভাপতি, এডহক কমিটি

অধ্যক্ষের বাণী
ফজিলাতুন্নেছা

অধ্যক্ষ

Institute Location Google Map